জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামি ১৭ এপ্রিল। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির না হয়ে তার করা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন আদালত।

এ সময় তার পক্ষে আবেদন করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাক খান।

অন্যদিকে জামিনে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য দেন।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।

এর আগে ৩১ মার্চ ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা। এরপর ৭ এপ্রিল খালেদাসহ জামিনে থাকা তিন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করে তাদেরকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। এদের মধ্যে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলো- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ডঃ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। 

এদের মধ্যে ডঃ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন। তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দেন এবং কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির আছেন।

দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।