জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের বৈধতা এবং মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) আবেদনটি খারিজ করে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯ মার্চ খালেদার পক্ষে রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে ২৩ ও ২৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ব্যস্ততা দেখিয়ে সময় চান। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

মামলা বাতিলের আবেদনে বলা হয়, দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে কমিশন। আর কমিশন বলতে তিন কমিশনারকে বোঝায়। অতএব হারুন-অর-রশিদের নিয়োগ আইনসম্মত হয়নি। তাই তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি মামলা বাতিল চাওয়া হয়েছিল।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।