- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ‘ব্লগার’ নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
‘ব্লগার’ নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
পুরান ঢাকায় সূত্রাপুর এলাকায় মুক্তমনা ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৬) কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ( ৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। সামাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের মাস্টার্সের (এলএলএম) শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিলেটে। তিনি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় একটি মেসে থাকতেন।
ফেসবুকে তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। তা ছাড়া, সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাজিমউদ্দিনের সহপাঠী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বন্ধু সোহেলের সঙ্গে পায়ে হেঁটে মেসে ফিরছিলেন নাজিমউদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে হেঁটে গেন্ডারিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। একরামপুর মোড়ে আসতেই তিন-চারজন যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপায়। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ অবস্থায় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয়।
সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা ও সামাদের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় জানা গেছে।
সামাদের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একজন মুক্তমনা ব্লগার। তিনি সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগেরও সমালোচনা করেন তিনি। আওয়ামী ওলামা লীগের বিরোধী ছিলেন সামাদ। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও ওলামা লীগ পরস্পরবিরোধী বলে মনে করতেন তিনি। সামাদ তার ফেসবুক পেজে এসব বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন।
সামাদের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মন্তব্যে একজন লিখেছেন, ‘তোমার জন্য ভয় হয় নাজিম। একটু সাবধানে থেকো। দেখতেই তো পাচ্ছ কী হচ্ছে। সাবধানে থেকো।’
জবাবে নাজিমুদ্দিন লিখেছেন, ‘ভয় আমার নিজেরও হয় স্যার। অকালে মরে যাওয়ার ভয়। কিন্তু কী করব স্যার। মাথা নত করে চুপ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে এ মরণই বোধ হয় ভালো।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।