দুর্গাপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা
দুর্গাপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রিন্টঅঅ-অ+
রাজশাহীর দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় আলাদা তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর এবং মঞ্চ ভাংচুরসহ হামলার অভিযোগে শনিবার রাতে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়। ওই তিন মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদসহ এজাহারনামীয় আসামী রয়েছেন ৫৬জন। এতে আরো অন্তত: ৫শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ওই তিন মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এরা হলেন, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন এলাকার সুখানদীঘির আফজাল হোসেন (৩৭), একই গ্রামের আনিছুর রহমান (৩৩) এবং বহ্মপুরের ময়েন উদ্দিন (৩২)। শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। এরা তিন জনই ওই তিন মামলার এজাহার নামীয় আসামী।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী জানান, শনিবার রাতে মামলা তিনটি দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে থানার থানা এসআই আব্দুস সালাম আদাজ বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় ৮জনসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এছাড়া গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমানের গাড়ি চালক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় ১০ জনসহ আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আর নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মঞ্চ ভাংচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকসেদ আলী। ওই মামলায় এজাহারনামী আসামী হলেন ৩৮ জন। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৩শ থেকে ৪শ জনকে আসামী করা হয়েছে ওই মামলায়।
ওসি আরো বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ এলাকা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই তিন মামলার একটিতে তাদের তিন জনই এজাহারনামীয় আসামী। এছাড়া অন্য দুই মামলায় একজনের করে এজাহারে নাম রয়েছে। জিজ্ঞাবাসাদ শেষে রবিবার দুপুরের দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, মঞ্চে ওঠা নিয়ে শনিবার বিকেলে রাজশাহীর দুর্গাপুরের রসূল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষ। এ ঘটনায় অন্তত: ২৫ নেতাকর্মী আহত হন। ওই সময় জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে বর্ধিত সভা চলছিলো সেখানে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা ছাড়াও দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে প্রতিহত করে মঞ্চ থেকে ফেলে দেন এমপি দারার সমর্থকও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ আলী ও তার লোকজন।
এ নিয়ে উত্তেজিত মজিদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা এমপি দারা ও নজরুল ইসলামের গাড়ি ভাংচুর করে। ভাংচুর করা হয় সভা মঞ্চ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে দুপক্ষকে হটিয়ে দেয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদের সমর্থকদের সঙ্গে এমপি দাদার সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিলো।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।