কমলগঞ্জে কৃষি জমিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
কমলগঞ্জে শমশেরনগর রেলওয়ে ষ্টেশনসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্থানে কৃষি বন্দোবস্ত নেওয়া জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের দুপার্শ্বে হাজার হাজার কোটি টাকার ভূমি সম্পত্তিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্নসহ বিভিন্ন ষ্টেশন এলাকায় রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার কৃষিজমি ও ভূ-সম্পত্তি পর্যায়ক্রমে বেহাত হচ্ছে।
বিগত ওয়ান-ইলেভেনের পর যৌথবাহিনী রেলওয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু জমি উদ্ধার করলেও ধীরে ধীরে সেগুলো বেদখল হয়ে গেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মূল্যবান এসব জমি প্রকাশ্য দখলে নিয়ে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে চললেও সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের জমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শমশেরনগর রেলষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রভাবশালী মহল কৃষি বন্দোবস্ত ভূসম্পত্তি নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি সময়েও কৃষি বন্দোবস্ত নেওয়া ভূমিতেও পাকা দালান নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। প্রভাবশালী মহল কর্তৃক রেলওয়ের কৃষি বন্দোবস্ত নেওয়া জমিজমার সঙ্গে পরিত্যক্ত জমিও নিজেদের দখলে নিয়ে চড়া দামে ক্রয়-বিক্রয় চলছে। কৃষি বন্দোবস্তকৃত স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা টিনসেড, পাকা ও আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন।
রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয়ের সুযোগ থাকলেও অবৈধভাবে জমি বেহাত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ওই জোনের টিলাগাঁও, লংলা, ভাটেরা, কুলাউড়া, শমশেরনগর, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, সাতগাও, রশিদপুর, লস্করপুর, শায়েস্তাগঞ্জ ও নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন ষ্টেশনের পাশের জমি অবৈধ দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মিত হচ্ছে। তাছাড়া সংঘবদ্ধ চোরচক্রও রেলপথের স্লিপারের সাথে যুক্ত ক্লিপ, নাটবল্টু প্রতিনিয়ত চুরি করে নিচ্ছে। রেলপথ থেকে এসব ক্লিপ চুরির ফলে রীতিমত ঝুঁকি নিয়েই ট্রেন চলাচল করছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ষ্টেশনের পরিত্যক্ত রেল লাইন থেকে হরদম চুরি হচ্ছে মূল্যবান লোহার সরঞ্জামাদি, রেল লাইনের যন্ত্রাংশ ও মালামাল। টেলিফোন ও সিগন্যাল লাইটের কাজে ব্যবহৃত তার, খুটি কেটে নিচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনাও।
ওই সেকশনের কয়েকজন রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে অবাধে একের পর এক কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বদলী, চাকুরী হারানোর ভয়ও রয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউ পাওয়া যায়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।