ঝিনাইদহে বটগাছ দেখে মুগ্ধ আরেফিন সিদ্দিক!
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুরে কয়েকশ বছর পুরোনো ও বিশাল আকৃতির বটগাছ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। গাছটি রক্ষায় তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির উদ্যোগে দেশের বটগাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপাচার্য শুক্রবার দুপুরে এই বটগাছ দেখতে আসেন।
সবুজ প্রকৃতি না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে মন্তব্য করে উপাচার্য বলেন, আমরা প্রকৃতির মতো করে বাঁচতে চাই। প্রকৃতির সাথে থাকতে চাই। এ কারণেই এদের রক্ষা করতে হবে। এ সময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এদেশের মানুষের সঙ্গে বটগাছের একটি সম্পর্ক আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে (বর্তমানে অপরাজেয় বাংলা) একটি বট গাছ ছিল। যে বটগাছকে কেন্দ্র করে দেশের সব আন্দোলনের সূত্রপাত হতো। কিন্তু ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী সেই বটগাছটিকে প্রথমে ধ্বংস করে। ১৯৭২ সালে সেই স্থানে আবারও বটগাছ লাগানো হয়। যে বটগাছের নীচে এখন ঢাবির সব ধরণের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
জেলার মল্লিকপুরের প্রাচীন এই বটগাছের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে স্থানীয় এক কুমারের কুয়ার দেয়ালে এই বটবৃক্ষটি জন্মেছিল। কালের বিবর্তনে মূল গাছটি মারা গেলেও ৪৫টি ভিন্ন ভিন্ন শাখার গাছ বর্তমানে প্রায় ২.০৮ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে। এই গাছের ৩৪৫টি বায়বীয় মূল মাটিতে প্রবেশ করেছে এবং ৩৬টি মূল ঝুলন্ত অবস্থায় বিদ্যমান। ২০০৯ সাল থেকে যশোর সামাজিক বন বিভাগ এই প্রাচীন গাছটিকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে আসছে।
এসময় উপাচার্য সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য(শিক্ষা)নাসরীন আহমেদ, বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ হাদিউজ্জামান, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের ডিন ইমদাদুল হক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল বাশার, জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাঈনুদ্দিন খান প্রমুখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।