স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ কলাবতী (২০)। 

নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পুটিমারী ইউনিয়নের সাতপাই গ্রামের স্বামী দীপক চন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকালে ওই গৃহবধূর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চার মাস আগে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল মাঝাপাড়া গ্রামের লাল মোহন চন্দ্রের রায়ের একমাত্র মেয়ে কলাবতীর(২০) সাথে একই জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উক্ত গ্রামের মৃত দিনোনাথ রায়ের ছেলে দীপক চন্দ্র রায় (২৫) এর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়েছিল।

গত দুই সপ্তাহ আগে কলাবতী মায়ের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের পরকীয়ার বিষয়টি মা নিভা রানীকে অবগত করে স্বামীর নির্য়াতনের কথা জানিয়ে ছিল।

কলাবতীর মা এই প্রতিবেদককে জানান, জামাই দীপকের যদি অন্য মেয়ের সাথে প্রেম ছিল তাহলে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করলো কেন। আমি এর বিচার চাই। বিয়ের সময় নগদ দেড় লাখ টাকা সহ সংসারের ঘর সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল এরপরও মেয়ের সুখ হলো না।

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।