হাতিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার শিকার প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য হাজী মোঃ নুরুল ইসলাম(মালয়েশিয়া)। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষণা করেন স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস ও তার স্বামী মোহাম্মদ আলী।
নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের এ দুই গ্রুপ প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর পাল্টা-পাল্টি হামলাসহ একাধিক নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় সমর্থকদের বাড়ি ঘরেও। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয় লাভ করার পরেও থেমে থাকেনি প্রতিপক্ষ বিদ্রোহীরা। আর এসব হামলা থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর অফিস সম্বলিত ছবি।
অভিযোগ উঠেছে এমপির স্বামী মোহাম্মদ আলী আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রার্থীকে প্রতিহত করার জন্য কমিটি গঠন করে। কমিটিতে সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্যাহ বাহার, পরাজিত ইয়াছিন আরাফাত কানু ও আহাম্মদ শরীফ বাবলুসহ তার সমর্থকরা রয়েছেন। এই কমিটির নেতৃত্বে প্রতিদিন ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে অন্তত শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী অবস্থান করে। তারা নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের পেলেই হামলা করে সব নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত পুরো ইউনিয়নে অন্তত ১৫ জন নেতার ওপর হামলা করে তাদের মটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাজারে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের দোকান-ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ(শনিবার) আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (মালয়েশিয়া) মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রস্তুতি নিলে এই কমিটির নেতৃত্বে তার অফিসে হামলা চালিয়ে পুরো অফিস লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। ভাংচুর করা হয় নৌকা প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিও। এসময় অফিসে থাকা সৌর প্যানেল, আলমিরা, চেয়ার-টেবিলসহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সোনাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মোঃ আলীর স্ত্রী আওয়ামী লীগের এমপি হলেও তার পরিবার কখনো আওয়ামী লীগ করেনি। সে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেয়। নির্বাচনে তার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হলে এখন এমপির প্রভাব খাঁটিয়ে সে আওয়ামী লীগের অফিসসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। এমনকি নৌকার সমর্থকদের বাড়ি ঘরে পর্যন্ত হামলা করছে।
তবে এবিষয়ে মোহাম্মদ আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ দিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তাণ্ডবে এলাকা ছাড়া হয়েছেন দ্বীপের চরঈশ্বর, জাহাজমারা, চরকিং এবং নিঝুমদ্বীপের একাধিক নেতা কর্মী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।