- হোম
- >
- ইতিহাস-ঐতিহ্য
- >
- নড়াইলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প
নড়াইলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প
বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই, কবির ভাষায় বাঁশ বেতের এই কথাগুলো এখন শুধু গল্প-কাহিনী শুনা যায়। নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প। বাড়ির পাশে বাঁশ বা বেতের ঝাড় গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে তাতে এ জাতীয় গাছগুলো হারিয়ে যাবার পথে।
একসময় এ দেশেই বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হত হাজারো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্য সামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকম জিনিস। অনেকে আবার এসব বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত।
দরিদ্র পরিবারের অনেক লোকের উপার্জনের একমাত্র পথ ছিল বাঁশ ও বেত। কিন্তু আজ বাংলাদেশের কয়টি গ্রামে এ হস্ত শিল্পটি উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে আছে তা এখন ভাবনার বিষয়। এখন সচরাচর গ্রামীণ উৎসব বা মেলাতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি উন্নতমানের খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুকসেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এগুলো তো দূরের কথা।
তৃণমূলে বিদ্যুৎ যেমন পাখার চাহিদা কমিয়েছে তেমনি, মৎস্য শিকার, চাষাবাদ, ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র সকল ক্ষেত্রেই কমেছে বাঁশ ও বেত জাতীয় হস্ত শিল্পের কদর। যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। ইটের ভাটায় পোড়ানোর জন্য বাঁশ, বেতও বাদ পড়ছে না। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি, দুষ্প্রাপ্যতা। অন্যদিকে, ক্ষতিকারক প্লাস্টিক, সিলভার, মেলামাইন জাতীয় হালকা কিন্তু টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনকে দখল করে রেখেছে।
এমতাবস্থায় বাঁশ ও বেতের শিল্পীরা বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।