রামগঞ্জে নির্যাতনের শিকার খুরশিদার দায়িত্ব নিলেন এমপি মুক্তা
রামগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের মিথ্যা অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন করা খুরশিদা বেগমের চিকিৎসা ও তার করা মামলার দায়িত্ব নিয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা। বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের নির্যাতিতা খুরশিদা বেগমের বাড়ী গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন নুরজাহান বেগম মুক্তা।
তিনি খুরশিদা বেগমের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোতা মিয়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুরশিদা বেগমকে নির্যাতনকারী আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। সেইসাথে তার মেয়ের কর্মসংস্থানের জন্য একটি সেলাই মেশিন দেন এবং ভবিষ্যতে খুরশিদা বেগমকে যেন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ না করতে হয় সে ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
এ সময় তার সাথে রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী, ১ নম্বর কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামে নির্মাণ শ্রমিক খুরশিদা বেগম রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় হাসিনা বেগম নামের এক নারী তাকে জোর করে টেনে হিচড়ে বাড়িতে ডেকে নেন। পরে হাসিনার স্বামীর সাথে খুরশিদার পরকীয়া প্রেম রয়েছে দাবি করে হাসিনার ভাই আবদুল আজিজ ও ফারুকসহ ৭/৮ জন মিলে খুরশিদাকে গাছের সাথে বেঁধে বেদম প্রহার ও শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে তারা খুরশিদার মাথার চুল কেটে মাথায় চুন ও কালো কালি মেখে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত হাসিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোতা মিয়া জানান, খুরশিদা বেগমকে নির্যাতনের ঘটনায় ওই দিনই নির্যাতনকারী হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বতর্মানে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।