- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ওয়াশিকুর হত্যা মামলা অভিযোগপত্রেই সীমাবদ্ধ
ওয়াশিকুর হত্যা মামলা অভিযোগপত্রেই সীমাবদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩০ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যায় বছর পার হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি। মামলরা বিচারের কাজ অভিযোগপত্রেই থেমে আছে।
মামলাটিতে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্যকৃত ৬টি তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। আগামী ৩ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘মামলাটির চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু এ মামলায় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় মামলার বিচার শুরু করা যাচ্ছে না। পরোয়ানাসংক্রান্ত প্রতিবেদন আসলে মামলার বিচার দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। আর মামলাটির বিচার যেন তাড়াতাড়ি শুরু হয় আমি সে প্রত্যাশা করছি। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট জিআর শাখাকে অবহিত করব যেন বিচারকার্য দ্রুত শুরু হয়।’
মামলার আসামিরা হলেন- আরিফুল ইসলাম, জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে হাসিব ও জুনায়েদ পলাতক।
আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। তদন্তের পর ২ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মশিউর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৩০ মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীর দিপীকা মোড়ে ওয়াশিকুরকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার পর পালানোর সময় হিজড়া ও এলাকাবাসী মিলে আরিফুল ইসলাম, জিকরুল্লাহ ওরফে হাসানকে আটক করে। এ ঘটনায় ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদি হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওয়াশিকুর মতিঝিলের ফারইস্ট অ্যাভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাবা টিপু সুলতানের সঙ্গে তিনি বেগুনবাড়ীর ৪/৩-এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপেজলার উত্তর হাজীপুরে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।