লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১২ ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী ৩১ মার্চ দুই উপজেলার ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।

এদিকে, বড়খাতা, সানিয়াজান, ফকিরপাড়া, সিংগীমারী, টংভাগা, ডাউয়াবাড়ী, ভেলাগুড়ি, দহগ্রাম ইউনিয়নের ভোটারদের নানা প্রকার হুমকি-ধামকি এবং বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ১১ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। নৌকায় ভোট চাইতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

অন্যদিকে অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে বড়খাতা ইউনিয়নে আব্দুল হাই, গড্ডিমারী ইউনিয়নে জসীম উদ্দিন, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ছাইয়াকুল ইসলাম, নওদাবাস ইউনিয়নে সোলেমান গণি, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে আব্দুস সাত্তার, টংভাগা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা নৌকার প্রতীকের সঙ্গে লড়ছেন।

বিএনপি নেতার এসময় দাবি করেন সুষ্ঠ ভোট হলে ১২ ইউনিয়নেই ধানে শীষ মার্কা বিজয় হবে।

এদিকে টংভাগা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান আতি আনারস প্রতীক নিয়ে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম হোসেনের নৌকা প্রতীকের সাথে লড়ছেন।

সানিয়াজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল গফুর আনারস প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাশেম আলী তালুকদার নৌকা প্রতীকে সাথে লড়ছেন। 

সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন দুলু নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন জাতীয় পার্টির এমজি মোস্তফার লাঙ্গল প্রতীকের সাথে। 

সিন্দুর্ণা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নূরল আমিন নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খতিব উদ্দিনের আনারস প্রতীকের সাথে লড়ছেন।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিউল আলম রোকন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সফিয়ার রহমানের ধানের শীষের সাথে লড়বেন। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মশিউর রহমান নৌকা প্রতীক, বিএনপির সাইয়াকুল ইসলাম ধানের শীষ নিয়ে আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

নওদাবাস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অশ্বনী কুমার বসুনিয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সোলেমান গনির ধানের শীষ প্রতীকের সাথে লড়ছেন। 

ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহির উদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সাত্তারের ধানের শীষ প্রতীকের সাথে লড়ছেন।

গড্ডিমারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিয়ার রহমান নৌকা প্রতীক, বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিনের ধানের শীষ প্রতীক ও জাতীয় পাটির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

বড়খাতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা জামান সোহেল নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে লড়ছেন। ফকিরপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর ইসলাম নৌকা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়াকত হোসেন রব্বু চশমা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত কামাল হোসেনের আনারস প্রতীকের সঙ্গে লড়ছেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, যার দ্বারা এলাকার উন্নয়ন সম্ভব তারা তাকেই নির্বাচিত করবেন। তাদের দাবি সরকার সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। তারা নিরাপদে ভোট কেন্দ্র যাবেন এবং ভোট দিবেন।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, জেলায় সুষ্ঠ নির্বাচন হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে ভোটাররা নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ভোট দিবেন।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজার রহমান বাবলা জানান, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থীরা জয় লাভ করবে। তিনি অভিযোগ করেন বিভিন্ন ভাবে বিএনপির প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, সুষ্ঠ নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।