ঝালকাঠি পৌরসভা ও গাভা ইউনিয়নে পুনঃভোট গ্রহণের দাবি
ঝালকাঠি পৌরসভার ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে তফশীল ঘোষণা ও নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে নারিকেল গাছ প্রতিকের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আফজাল হোসেন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের আড়দ্দার পট্টিস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী জানান। অপর দিকে সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রদখল ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে কুপিয়ে কারচুপির অভিযোগ এনে ৭টি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লিটন।
রবিবার সকাল ১০টায় ঝালকাঠির ব্র্যাকমোড়স্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
আফজাল হোসেন বলেন, পৌর এলাকার ১৮টি ভোটকেন্দ্রের সকল পুলিং এজেন্টকে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন মারধর করে বের করে দেয়। আমি তাতে বাধা দিতে গেলে আমার উপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আমাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে আমাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পূর্বে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হবার পরে নারিকেল গাছ প্রতিকে ভোট পড়ছে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ষড়যন্ত্র করে। তাই আমাদের শেষ আশ্রয় স্থল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঝালকাঠি পৌরসভার নতুন করে তফশীল ঘোষণা ও নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
আমিনুল ইসরাম লিটন বলেন, সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে জেলার এক শীর্ষ নেতার ভাগ্নে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল, ভাইসহ কর্তব্যরত আরো ২ জন আনসারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এমনকি ২২ মার্চ নির্বাচনের পূর্বের রাতে সামান্য একটি মামলায় আমাকে আটক করে পুলিশ। সকালে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি। কিন্তু আমাকে বিকেলে আদালতে দিয়ে আমার নির্বাচনী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। একদিকে আমি আটক, অন্যদিকে ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম হওয়ায় নির্বাচনী এজেন্ট ও ভোটার হতাশ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোকজন আমার ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে জাল ভোট প্রদান ও ফলাফল কারচুপির মধ্যে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। এ জন্য জুতিয়া, বেরমহল, কাঁচাবালিয়া, বেরমহল, হোসেনপুর, রামচন্দ্রপুর, গাভারামচন্দ্রপুর ও রমজানকাঠি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান লিটন খান।
এসময় মোঃ সাঈদ উদ্দিন মল্লিক, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ আজাহার আলী খান, আঃ সত্তার মাস্টার, বিজয়কৃষ্ণ দাসসহ এলাকার শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।