নড়াইল কৃষি কলেজের ওয়েবসাইট প্রকাশ
নড়াইল জেলায় কৃষি কলেজের নামে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের ৫ম পর্বের মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন ও মোঃ হিমেল মোল্যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সসীম কুমার সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৫ সাল থেকে নড়াইল কৃষি ও কারিগরি কলেজের যাত্রা শুরু হলেও এর কোন ওয়েবসাইট ছিল না। এতে করে কলেজ সংক্রান্ত তথ্য পেতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয় ও কলেজের ওয়েবসাইট থাকা একান্ত আবশ্যক একটি বিষয়।
তারই ধারাবাহিকতায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সসীম কুমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫ম পর্বের মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন ও একই পর্বের ছাত্র মোঃ হিমেল মোল্যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে কলেজের নামে ওয়েবসাইটের একটি খসড়া রূপ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে অনলাইনে ওয়েবসাইটটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জানা যায়, সাময়িকভাবে Google এর Blogspot এ Sub Domain এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটটির যাত্রা শুরু হয়েছে। বর্তমানে কলেজটির ওয়েব এড্রেস হচ্ছে http://www.natcnrlbd.blogspot.com. এছাড়াও উক্ত ওয়েবসাইট এ Facebook, Twitter, YouTube, Google Plus সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও যুক্ত করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা, মতামত, অভিযোগ ইত্যাদি জানাতে ওয়েবসাইট এ সংযুক্ত মেইল এড্রেস [email protected] অথবা ফেইসবুক পেজ http://www.facebook.com/natc.nrlbd এর মাধ্যমে কলেজ অফিসে জানাতে পারবে।
ওয়েবসাইট সম্পর্কে সুমাইয়া খানম জানান, বর্তমান যুগ কম্পিউটারের যুগ। অধিকাংশ কলেজেই এখন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠানে না থাকার কারণে কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের এ সকল সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমি ৫ম পর্বের মোঃ হিমেল মোল্যাকে সাথে নিয়ে ওয়েবসাইটটি তৈরি করি। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনেও আবেদন করতে পারবে।
মোঃ হিমেল মোল্যা জানান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সসীম কুমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া ওয়েবসাইটটি তৈরীতে আমাকে অত্র কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইয়ামিন কবীরসহ ৫ম পর্বের ছাত্র চিরঞ্জিত রায়, খায়রুল ইসলাম, মারুফ হোসেন ও সুজন মোল্যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে। আশা করি ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে।
পরবর্তীতে ওয়েবসাইটটি পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সসীম কুমার সরকার বলেন, সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ার কারণে আমরা ওয়েবসাইটটির পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রকাশ করতে পারিনি। আমার কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভবপর হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ওয়েবসাইটটিকে আরো সুসংগঠিত করে শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থাপন করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।