আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুই মন্ত্রীর স্বপদে বহাল থাকার ব্যাপারটি মন্ত্রিপরিষদের এখতিয়ার। রবিবার (২৭ মার্চ) দুই মন্ত্রীর আদালত অবমাননার আদেশের পর এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, আদালত অভিযুক্ত ওই দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেননি। তবে তাঁরা মন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন কি না এ বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। সংবিধানেও এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই। তাই মন্ত্রিপরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, এর আগে হাবিবুল্লাহ খান নামের একজন মন্ত্রী দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর মন্ত্রীত্ব গিয়েছিল কি না জানা নেই।

তিনি বলেন, ‘আদালত দুই মন্ত্রীর আবেদন শুনেছেন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এদের সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে। কিন্তু আদালত তাদেরকে ছাড় দেননি। এটি জাতির জন্য একটি মেসেজ।’

এ ব্যাপারে আইন বিশেষজ্ঞ ডঃ শাহদীন মালিক জানান, সংবিধানে মন্ত্রিত্ব যাওয়ার বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিষয়টি নৈতিকতার।

এদিকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আদালত অবমাননার দায়ে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের এই দুই মন্ত্রী।

এসময় তারা ‘প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে অতিকথন বন্ধ করা উচিত’বলে মন্তব্য করেন।