স্মৃতিসৌধে তনু হত্যার বিচার দাবি
সাদা কাগজের ওপর লাল অক্ষরে লেখা, ‘তনু আমার বোন, বোন হত্যাকারীর বিচার চাই’। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আহসান হাবিব। সাভারের মিলন পোশাক কারখানায় কাজ করেন তিনি। মিলনের পাশেই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর তনু’ লেখা প্ল্যাকার্ড বুকে ঝুঁলিয়ে দাঁড়িয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিক রাশিদুল ইসলাম।
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আজ শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন হাবিব-রাশিদুলদের মতো শতাধিক তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশ দুর্নীতিবিরোধী ফেডারেশনের ব্যানারে জড়ো হয়েছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার মাধ্যমেই তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়েছেন স্মৃতিসৌধে।
দুর্নীতিবিরোধী ফেডারেশনের সভাপতি তানভির আহমেদ বলেন, ৪৫ বছর আগে আমরা স্বাধীন হয়েছি। এখন দেশে পাক হানাদার বাহিনী নেই। তারপরও কেন বোন তনুকে হত্যা করা হবে। তনু আমার বোন, দেশের সম্পদ। দ্রুত সময়ে বিচার করতে হবে। নয়েতা আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা। মায়ের কাছে বিচার দিলাম, যেন তনু হত্যার বিচার দ্রুত হয়।’
এসময় তনু হত্যার বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
এদিকে, স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের পাশেই চলছে তনু হত্যার বিচার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃন্ত নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কর্মসূচি চালাচ্ছে।
বিশাল কালো কাপড়ের ক্যানভাস। ক্যানভাসের মধ্য দিয়ে উঁকি দিচ্ছে তনুর হাস্যোজ্জ্বল মুখ। কালো ক্যানভাসের ওপরে সাদা রংয়ের কালিতে চলছে গণস্বাক্ষর।
এই কর্মসূচিতে কাজ করছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিনা আহমেদ তানিয়া। তিনি বলেন, আমি একজন নারী। আমরা কোথায় নিরাপদ? আমরা সব সময় পাবলিক প্লেসে চলাফেরা করি। আমরা এতকিছু বুঝি না, তনু হত্যার বিচার চাই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।