নীলফামারীর ডিমলায় অজ্ঞাত তরুণী হত্যার অভিযোগে শুক্রবার রাতে আরো দুই মাদকব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এ মামলায় মোট তিনজন মাদকব্যবয়াসীকে আটক কর হলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ সুন্দরখাতার সিংপাড়া গ্রামের মৃত বেনামী চন্দ্র রায়ের ছেলে মাদকব্যবসায়ী ধীরেন চন্দ্র রায় (৪০) ও একই এলাকার মৃত গোড়াচান চন্দ্র রায়ের ছেলে মাদকব্যবয়াসী মানিক চন্দ্র রায়কে(৩০) ।

জানা যায়, ভোর রাতে ডিমলা থানার সাবইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধীরেন ও মানিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। একই মামলায় গত বৃহস্পতিবার ওই গ্রামেরই শাহিনুর ইসলাম নামে এক মাদকব্যবয়াসী আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে বুড়িতিস্তা নদীর ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত তরুণীর (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ওই তরুণীকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ঘটনার দিন ডিমলা থানায় ৩০২ ধারায় মামলা নং-২৩ দায়ের করেন। 

ডিমলা থানার ওসি রহুল আমিন খানের কাছে আটককৃত মাদকব্যবসায়ীদের এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা আছে কিনা, নাকি  সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সু-স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতেই পারেনি। তিনি প্রথমে জানান সম্পৃক্তা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ আবার একটু পরেই বলেন অনেকটাই সন্দেহজনকভাবেই তাদের আটক বলা যেতে পারে!

তবে ডিমলা থানার সাবইন্সপেক্টর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন জানান, এ মামলা প্রথম গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাদকব্যবসায়ী শাহিনুর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দুইজন মাদকব্যবয়াসীকে আটক করা হয়। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই হত্যার সঠিক রহস্যসহ মৃত যুবতীর সঠিক পরিচয় উম্মোচন করতে পারব।