রুনা ও আলমগীরের বাসায় গুলজার
উপমহাদেশের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা ও অভিনেতা আলমগীর দম্পতির মোহাম্মদপুরের বাসায় বৃহস্পতিবার রাতে আড্ডায় মেতেছিল ভারতের প্রখ্যাত কবি, গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক গুলজার। তার সঙ্গে এসেছেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমারের পুত্র অমিত কুমার। দু’জনকেই নেমন্তন্ন করেছিলেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা। রুনাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর নিজের লেখা বই উপহার দিয়েছেন গুলজার।
আড্ডায় আরও ছিলেন আলমগীরের কন্যা আঁখি আলমগীর, ভারতের প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক সেলিম আরিফ, ভারতীয় কনসার্ট আয়োজন তোচন ঘোষ ও বনি ঘোষ।
রুনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গুলজার সাহেব ও অমিত কুমারজির সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলাম। গুলজার সাহেব আমাকে তার লেখা বই উপহার দিলেন। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের।’
সুচিত্রা সেন অভিনীত হিন্দি ছবি ‘আন্ধি’ ও শর্মিলা ঠাকুরের ‘মৌসম’ ছবির পরিচালক গুলজার। তবে তার বড় পরিচয় গীতিকার। ১৯৬৩ সালে ‘বন্দিনী’র মাধ্যমে গীতিকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর রাহুল দেব বর্মণ, সলিল চৌধুরী, বিশাল ভরদ্বাজ ও এ.আর. রহমানের মতো অসংখ্য সংগীত পরিচালক তার লেখা গান শুরু করেছেন। এখনও দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন ৮১ বছর বয়সী এই গুণী শিল্পী।
গুলজারের লেখা জনপ্রিয় গানের তালিকায় কম দীর্ঘ নয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘তুঝসে নারাজ নাহি জিন্দেগি’ (মাসুম), ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই শিকওয়া তো নেহি’ (আন্ধি), ‘তুম আ গ্যায়ে হো নূর আ গ্যায়া’ (আন্ধি), ‘মেরা কুছ সামান’ (ইজাজাত), ‘ছাইয়া ছাইয়া’ (দিল সে), ‘দিল সে রে দিল সে রে’ (দিল সে), ‘বোল না হালকে হালকে’ (ঝুম বারাবার ঝুম), ‘বারসো রে মেঘা মেঘা’ (গুরু), ‘চাল্লা’ (জব তাক হ্যায় জান), ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’ (ইশকিয়া), ‘বিসমিল’ (হায়দার) প্রভৃতি।
‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ ছবির ‘জয় হো’ গান লেখার সুবাদে অস্কার জেতেন গুলজার। একই গান তাকে এনে দিয়েছে গ্র্যামিও। ভারতের তৃতীয় বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ, সাহিত্য আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড, সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড- সবই পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে লেইজার বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে গুলজার আবৃত্তি করবেন। একই আয়োজনে অমিত কুমার গান গেয়ে শোনাবেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।