নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরাই বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। 

সদর উপজেলা গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোঃ গোলাম মাওলা শেরওয়ানী পেয়েছেন ৪ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) চশমা প্রতীকে এএসএম শাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৯ ভোট। বিনয়কাঠি ইউনিয়নে মোঃ নৌকা প্রতীকে সাইফুল ইসলাম খান ৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে টিএম সেলিম পেয়েছেন ২৩৬ ভোট। নবগ্রাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোঃ মুজিবুল হক আকন্দ ৭ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকে ওয়ালিউর রহমান হিরু পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ ভোট। কেওড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকে মোয়াজ্জেম হোসেন ৫ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অটোরিক্সা প্রতীকে মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার মঈন পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট। কির্ত্তীপাশা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোঃ আব্দুস শুক্কুর মোল্লা ৬ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আঃ রহিম মিয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২২২ ভোট। বাসন্ডা ইউনিয়নে মোবারক হোসেন মল্লিক নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীক পেয়েছেন ১৪২ ভোট। গাবখান ধাঁনসিড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) একেএম জাকির হোসেন আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (স্বতন্ত্র) মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন ২ হাজার ৬০৯ ভোট। শেখেরহাট ইউনিয়নে মোঃ নুরুল আমীন খান নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোঃ বজলুল করীম খান আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৭১ ভোট। নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে রেজাউল কবীর নৌকা প্রতিকে ৫ হাজার ৪ শত ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাতপাখা প্রতীকে মোঃ সমশের আলী খন্দকার ৩৫৭ ভোট। 

নলছিটি উপজেলায় মগড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ হুমায়ুন কবীর মল্লিক হাতপাখা প্রতিকে পেয়েছেন ৮১৫ ভোট। দপদপিয়া ইউনিয়নে সোহরাফ হোসাইন বাবুল মৃধা নৌকা প্রতিকে ১০ হাজার ১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভৈরবপাশা ইউনিয়নে নাসির উদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতিকে ৬ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামাল হোসেন হাতপাখা প্রতিকে পেয়েছেন ৩৪২ ভোট। মোল্লারহাট ইউনিয়নে মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার নৌকা প্রতিকে ৭ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ আব্দুস সালাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৪ ভোট। কুলকাঠি ইউনিয়নে মোঃ আক্তারুজ্জামান হাওলাদার নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৮৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সবুজ হাওলাদার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট। নাচনমহল ইউনিয়নে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান নৌকা প্রতিকে ৬ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সুবিদপুর ইউনিয়নে মোঃ আঃ মান্নান সিকদার নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৫৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকে জেসমিন আক্তার। কুশঙ্গল ইউনিয়নে মোঃ আলমগীর হোসেন নৌকা প্রতিকে ৬ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রানাপাশা ইউনিয়নে মোঃ মাসুদুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

রাজাপুর উপজেলায় সাতুরিয়া ইউনিয়নে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৫৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) মোঃ হেমায়েত হোসেন আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৫৪০ ভোট। বড়ইয়া ইউনিয়নে মোঃ শাহ আলম মিয়া নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গালুয়া ইউনিয়নে মুজিবুল হক কামাল নৌকা প্রতিকে ১২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোঃ জহুরুল হক গাজী আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮১০ ভোট। মঠবাড়ি ইউনিয়নে মোস্তফা কামাল সিকদার নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৮৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজাপুর সদর ইউনিয়নে মোঃ আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবর নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জিএম কামরুল আলম সগীর ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৭ ভোট। শুক্তাগড় ইউনিয়নে মোঃ মজিবুল হক নৌকা প্রতিকে ৮ হাজার ৫৩৪  ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

কাঠালিয়া উপজেলায় আমুয়া ইউনিয়নে মোঃ আমিরুল ইসলাম নৌকা প্রতিকে ৮ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। চেচরীরামপুর ইউনিয়নে মোঃ জাকির হোসেন নৌকা প্রতিকে ৭ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে শিশির দাস নৌকা প্রতিকে ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শৌলজালিয়া ইউনিয়নে মাহমুদ হোসেন রিপন নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৩৪৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে মোঃ গোলাম কিবরিয়া সিকদার নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ নাসির উদ্দিন মুন্সি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯০ ভোট। আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোঃ কামরুজ্জামান নকীব ঘোড়া প্রতীকে ১ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭১১ ভোট।