নোয়াখালীতে জোড়া খুনের মামলায় ১২ জনের ফাঁসি
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও তার দোকানের এক কর্মীকে হত্যার ১২ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ.এন.এম মোর্শেদ খান এই রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন জাবেদ, এলজি কামাল, কামরুল হাসান সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার, আবদুস সবুর, জাফর হোসেন মনু, আলী আকবর সুজন, শামছুদ্দিন ভুট্টু, সাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন মঞ্জু, আবু ইউসুফ সুমন ও তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল।
জেলা জজ আদলতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি)এটিএম মহিব উল্লাহ জানান, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফেয়ারের মালিক ফিরোজ কবির মিরণ ও তার দোকানের কর্মচারী সুমন পাল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ১৩ লাখ টাকা ও মূল্যবান মোবাইল সেট সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পুল এলাকায় সন্ত্রাসাসীরা তাদের দুজনকে মাইক্রোবাসে তুলে টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কুপিয়ে খুন করে মৃতদেহ সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরদিন নিহত মিরণের বাবা এবি সিদ্দিক বাবুল মিয়া বাদি হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর এটিএম মহিব উল্লাহ জানান, মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে আবু ইউসুফ সুমন ও তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ জানান, অপর ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয় এবং সোলাইমান জিসান নামে এক আসামি ইতিপূর্বে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। এ রায়ে বাদিপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানান। এ মামলা ৩৯ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।