সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, মাগুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রায় ৪ ঘণ্টা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। 

বুধবার বিকালে তালার মাগুরায় এ পূজা অনুষ্ঠানে যোগ দিলে এমপি মুস্তফালুৎফুল্লাহ পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে। 

মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিরন্ময় মন্ডল ও তার সমর্থকরা এই হামলা চালায়। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকজন হামলাকারীদের উপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।

স্থানীয় ওয়ার্কাস পার্টির এমপি অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের ইন্ধনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে। ঘটনা জানাজানি হওয়া মাত্রই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় আয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে হাজার হাজার এলাকাবাসী রাত সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা ডিবি অফিসে যাওয়ার প্রাক্কালে পথের মধ্যে ত্রিশমাইল নামক স্থানে পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে রাত ১০টায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেয় পুলিশ। 

এদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাত ১১টায় পাটকেলঘাটা বলফিল্ড মোড় ও রাত ১২টায় তালা বাজার তিন রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাকির হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তৃতা রাখেন। সমাবেশ থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা ও সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে তালা উপজেলার সর্বত্র অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।