ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২১ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
রাজধানীর মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় ফাতেমা আকতার কনা (২৮) নামে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মা ও কন্যা নবজাতকের মৃত্যুর পর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ নিজেদের আড়াল করতে সরে পড়ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত প্রসূতি কনার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়িতে। তিনি স্বামী তারেক হাসানের সঙ্গে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরে থাকতেন। এই দম্পতির একটি ছেলে রয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলা, ভুল চিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত কনার ছোটবোন নার্গিস আকতার টুম্পা বলেন, ‘আগামী মাসের ১৯ তারিখে (১৯ এপ্রিল) আপার সিজার হওয়ার কথা ছিল। গতকাল (রবিবার) হঠাৎ পেটে ব্যাথা অনুভব করলে তাৎক্ষণিক তাকে মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
‘এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশন করতে হবে বলে আপাকে ওটিতে নিয়ে যান। এরপর প্রথমে একটি মৃত কন্যা সন্তান হয় এবং কিছুক্ষণ পরে আপাও মারা যান।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল জানান, এ ঘটনায় রবিবার (২০) দিনগত রাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুগদা থানা-পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মুগদা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে মা ও নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওই প্রসূতির স্বজনরা থানায় একটি মামলা (মুগদা থানার মামলা নম্বর-১৮) করেছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।