আম্পায়ারদের অভিযোগ আইনবহির্ভূত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসি) পাঠানো প্রতিবেদনে আইসিসি জানিয়েছে, আম্পায়াররা তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে কোন বলটির অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আইনের ২.১.১ ধারা অনুযায়ী, একটি ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়ের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হলে কেন সন্দেহ হয়েছে এবং কোন বলটির অ্যাকশন সন্দেহ হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে হয়। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির কোন বল নিয়ে সন্দেহ হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেননি আম্পায়াররা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাসকিনের স্টক বল (গুড লেন্থ) এবং ইয়র্কারে কোনো ধরনের অনিয়ম পায়নি আইসিসি। তবে পরীক্ষার সময় তাসকিনকে তিন মিনিটের ব্যবধানে নয়টি বাউন্সার করতে বলা হয়। এর মধ্যে তিনটি বল আইনসম্মত ছিল না। কিন্তু যে ম্যাচটির বোলিং নিয়ে আম্পায়াররা তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, সেই ম্যাচটিতে তাসকিন একটিও বাউন্সার দেননি!
ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর আরো বলেন, আইসিসির ২.২.১৩ ধারার নিয়ম অনুযায়ী কোনো বোলারের নির্দিষ্ট কোনো ডেলিভারি কিংবা স্টক ডেলিভারিতে সমস্যা থাকলে সেই বোলারকে সতর্ক করে দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই বোলার খেলতে পারবে। কিন্তু তারপরও তাসকিনকে সতর্ক না করে নিয়ম ভঙ্গ করে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ম্যাচে বল করার কারণে তাসকিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেটিতে তিনি কোনো বাউন্সারই করেননি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।