না ফেরার দেশে দিতি
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি।
আজ রবিবার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া মুখপাত্র ডা. সাগুফতা। গত ৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
ডা. সাগুফতা জানান, মৃত্যুর আগমুহূর্তে দিতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। কৃত্রিম পর্যায়েও শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। একপর্যায়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে মস্তিষ্কে ক্যানসার ধরা পড়ে দিতির। তখন চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই দফা চিকিৎসা শেষে রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ‘পারকিনসন’ রোগে আক্রান্ত হন দিতি।
মাদ্রাজের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, এই রোগ থেকে কোনোদিনই মুক্ত হবেন না দিতি। তাই বাধ্য হয়েই গেল ৮ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন দিতি। একই দিন সরাসরি ভর্তি করানো হয় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। এতদিন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন দিতি।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে শুরু করে ভক্তদের মনে।
নারায়ণগঞ্জের মেয়ে দিতি ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।