পত্নীতলায় থানা পুলিশ অপহরণের ৩৭ দিন পর অপহরণকৃত নাবালিকা মেয়ে উম্মে কুলসুম কুশুমসহ অপহরণকারী পলিল খালকোকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে নিয়ামতপুর থানার হাজীনগর এলাকা থেকে আটক করেছে। 

জানাগেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ শুক্রবার পত্নীতলা উপজেলার গোপীনগর গ্রামের মিজানুর রহমানের নাবালিকা মেয়ে উম্মে কুলসুম কুশুম (১৩) পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে আসলে অপহরণকারী নিয়ামতপুর থানার লক্ষিডাঙ্গা গ্রামের কালা চাঁদের পুত্র পলিল খালকো (২০) তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

উম্মে কুলসুম কুশুম পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে নিয়ামতপুর থানার লক্ষিডাঙ্গা গ্রামের কালা চাঁদের পুত্র পলিল খালকো মুসলমান পরিচয় দিয়ে ফুসলিয়ে প্রেম করে। এরই এক পর্যায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ শুক্রবার উম্মে কুলসুম কুশুম পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে আসলে সেখান থেকে পলিল খালকো তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। 

অপহরণের পর থেকে উম্মে কুলসুম কুশুম সহ পলিল খালকোর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর মেয়েকে না পেয়ে তার পিতা মিজানুর রহমান বাদি হয়ে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা করলে থানা পুলিশ বিভিন্ন ভাবে উম্মে কুলসুমকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও জানাযায় উক্ত পলিল খালকো উম্মে কুলসুমকে ভারতে নিয়ে গেছে।

তবে শনিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উক্ত অপহরকারী পলিল খালকো উম্মে কুলসুমকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ামতপুর থানার হাজীনগর এলাকায় অবস্থান করছে। সঙ্গে সঙ্গে পত্নীতলা থানার এসআই  শামছ্ ফোর্স শনিবার ভোরে নিয়ামতপুর থানার সহযোগীতায় নিয়ামতপুর থানার হাজীনগর ইউনিয়নের পাতইল গ্রামের সিধুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে উম্মে কুলসুম সহ অপহরণকারী পলিল খালকোকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানায় মামলা নং ২, তাং ০২/০৩/২০১৬। ধারা ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০।