কুড়িগ্রামে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খনন শুরু
কুড়িগ্রামে তিন উপজেলার তিস্তা-ধরলা নদীর সাথে সংযোগ ক্যানেল খনন কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ১০টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি সেচের এবং প্রায় এক হাজার পুকুর মাছ চাষের আওতায় আসবে। এতে উপকৃত হবে প্রায় লক্ষাধিক কৃষক ও মৎস্যজীবী।
ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি প্রোজেক্টর (আইএপিপি) উদ্যোগে ১৮ কি.মি. ক্যানেল পুন খনন কাজ শুরু হয়। পুন খনন কাজে ব্যয় হবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর সিন্দুরমতি থেকে সদর উপজেলার মোগলবাসার ধরলা নদী পর্যন্ত সংযোগ খনন কাজ শেষ হবে।
এই কাজের উদ্বোধন করেন, আইএপিপির পরিচালক আব্দুল কাদের। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী, প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকল্প ব্যবস্থাপক রংপুর ড. মোঃ. শাহাবুদ্দিন, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জেলা সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম, বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ নির্বাহী প্রকৌশলী হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব, উপজেলা কুষি কর্মকর্তা ষষ্টি চন্দ্র রায়, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান প্রমুখ।
রাজারহাট উপজেলার সিন্দুরমতি ব্রিজ হতে রাজারহাট সদর, ঘড়িয়াল ডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, চাকিরপশার, ওমর মজিদ, উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর, পান্ডুল এবং কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ও মোগলবাসা ইউনিয়ন পর্যন্ত এই খনন কাজ মে মাসে শেষ করা হবে।
আইএপিপির পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন ক্যানেল খনন কাজ শেষ হলে জেলার নিচু এলাকার ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। ফলে এসব জমি কৃষির আওতায় আসবে। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার পুকুর মাছ চাষের আওতায় আনতে পারবে মৎস্যজীবীরা। এজন্য ক্যানেল খননে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।