- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণ, মন্ত্রী'র হস্তক্ষেপে ধর্ষক গ্রেপ্তার
মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণ, মন্ত্রী'র হস্তক্ষেপে ধর্ষক গ্রেপ্তার
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই মন্ত্রী'র হস্তক্ষেপে মূল আসামি পিকআপ চালক মারুকুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারুকুল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কচুয়া গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
অভিযোগ মতে, গত বুধবার(১৬ই মার্চ) বিকেলে এলাকাবাসী গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের অবিলের বাজারের অদুরের একটি ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনো সে চিকিৎসাধীন আছে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা মহির উদ্দিন বাদি হয়ে কিশোরীগঞ্জ থানায় পিকআপ চালক মারুকুল প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাচন দমন আইনের ৭/৯ (১১)(৩০) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (যাহার নম্বর ১১)।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি শুক্রবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপির।
শিক্ষা মন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দুইজনে ওই ছাত্রীর সকল আইনী সহযোগীতার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক বলেন এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের পক্ষেও ওই ছাত্রীকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
অপর দিকে, শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, ঘটনার মূল নায়ক পিক আপ চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর জবানবন্দী রের্কড করা হয়েছে। সে জানায় নানার বাড়ি থেকে লেখা পড়া করতো। তার মামা সেলিম আলু ব্যবসায়ী হওয়ায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে আলু পাঠাতে একটি পিকআপ ভাড়া করেন। গত কয়েকদিন ধরে পিকআপে আলু হিমাগারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। সেই কারণে পরিচয় ঘটে পিকআপ চালকের সাথে।ঘটনার দিন মেয়েটি মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছিল। অদুরে পিকআপ নিয়ে অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে পিকআপ চালক মারুকুল ইসলামকে। তারা জোড়পূর্বক মেয়েটিকে পিকআপে তুলে নেয়। এরপর নিয়ে যায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম নামক স্থানে। মেয়েটির ভাষ্যমতে ওই গ্রামের একটি বাড়ির ঘরে তারা তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। তার শারীবিক অবস্থা খারাপ হলে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে ওরা তিনজন তাকে বিকালে পুনরায় পিকআপে উঠিয়ে অবিলের বাজারের অদুরে একটি ভুট্টা ক্ষেতের ধারে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ অবস্থায় এলাকার এক গৃহবধু তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় একটি বাড়িতে নেয়। সেখানে এক ফেরিওয়ালা মেয়েটিকে চিনতে পেরে তার বাবাকে মোবাইলে খবর দেয়। তার বাবা এলে এলাকাবাসীর সহায়তায় মেয়েটিকে সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মারুকুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।