ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা রোধের দাবি হাতিয়াবাসীর
নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার প্রায় ছয় লক্ষ জনগণ অতীত থেকেই কোনো না কোনো ভাবেই একশ্রেণীর লোকের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। যাদের মূল শক্তি সহিংসতা, ভয় ভীতি প্রদর্শন, হামলা-লুট ইত্যাদি করে ক্ষমতা দখল।
এরা বিশেষ রাজনৈতিক দলের কেউ নয়। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা কিংবা খুললেও তা বেশি দিন টিকে থাকেনা। আর এদের আসল রুপটা প্রকাশ প্রায় বিশেষ করে নির্বাচন আসলে।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনের দিন যতই কাছে আসছে ততই হাতিয়ায় সহিংসতার রাজনীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিনই কমবেশি সংঘর্ষ লেগেই আছে। বিশেষ করে গত ৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এ সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
গত কয়েকদিনে হাতিয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হতাহত হয়েছে। যাদের কেউ কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায়ও রয়েছে। আর এ অবস্থা দেখে সাধারণ জনগণ যেমন আতঙ্কে আছে তেমনি বিশিষ্টজনরা বারবার নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কেননা বিগত নির্বাচনগুলোতেও সহিংসতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
বিশেষ করে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হাতিয়ার পৌর নির্বাচনে ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা সত্বেও সহিংসতা হয়েছে ব্যাপক। যার ফলে জনগণ নির্বাচনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না বলে ধারণা করছে এখানকার প্রবীণ রাজনীতিবিদরা। যার ফলে তৃণমূলের উন্নয়নে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটবে।
তাই নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং আসন্ন ২২ মার্চের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি মোতায়ন করার দাবি জানিয়েছে নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।