ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রজাতান্ত্রিক নিয়মে
ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রজাতান্ত্রিক নিয়মে বাটোয়ারাসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন খালেদা জিয়া। কাউন্সিলে ২০৩০ সাল নাগাদ দলের করণীয় প্রকাশ করলেন তিনি।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতাকে ‘স্বৈরাচারি’ রূপে দেখেছে বলেও মন্তব্য করেন খালেদা। তাই নিজেরা ক্ষমতায় গেলে সে ক্ষমতা বণ্টনের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেন।
এর আগে শনিবার(১৯মার্চ)সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কাউন্সিলে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। পৌনে ১১টায় জাতীয় পতাকা তুলে কাউন্সিল উদ্বোধন করে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন তিনি।
বিএনপির এবারের কাউন্সিলের স্লোগান- ‘দুর্নীতি-দুঃশাসনের হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’। কাউন্সিলের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘মুক্ত করবোই গণতন্ত্র’।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ড. আবদুল মঈন খান।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা বটমূলে দলের প্রথম কাউন্সিল হয়েছির। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় কাউন্সিল। দীর্ঘ আট বছর পর ১৯৮৯ সালের মার্চে তৃতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। আর চতুর্থ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় হয় ১৯৯৩ সালে মানিক মিয়া এভিনিউতে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হয় পঞ্চম কাউন্সিল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।