ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে টুনটুনি
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৭ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
বাবা-মায়ের একমাত্র নয়নমণি পাঁচ বছর বয়সের টুনটুনি। নাম নুরসাদ জাহান। ডাকে সবাই ঊর্মি বলে। এখন ওর টুনি পাখির উচ্ছলতায় মগ্ন হওয়ার দিন। কিন্তু সে উপায় নেই ঊর্মির। রক্তে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। তাই মলিন মুখে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকে আর দিন গোনে—কখন ভালো হবে।
টুনটুনির চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই বাবা-মায়ের। এ চিকিৎসায় লাগছে প্রচুর টাকা।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জি-ব্লকের ৩১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বিছানায় ভর্তি রয়েছে ঊর্মি। বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কাকফো গ্রামে। ঊর্মি হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামানের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাবা আব্দুল মালেক মিয়া দিনমজুর। পাড়া-প্রতিবেশীর সহযোগিতা আর ঋণ করে এত দিন চিকিৎসার খরচ জুটিয়েছেন। কিন্তু এখন আটকে গেছেন। ওষুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না।
মা শরিফা খাতুন মুঠোফোনে জানান, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার মেয়ের রক্ত পরিবর্তন, ওষুধ কেনা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা বাবদ রোজই অনেক টাকা লাগছে।
এ পরিস্থিতিতে টাকা জোগাড় করতে না পারা মানে ঊর্মির জীবনটা কমে হয়ে আসা। ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাওয়া।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।