- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ঝালকাঠি লিগ্যাল এইডে ১৭০ মামলার নিষ্পত্তি
ঝালকাঠি লিগ্যাল এইডে ১৭০ মামলার নিষ্পত্তি
ঝালকাঠি জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির ৫৬ জন প্যানেলভূক্ত আইনজীবী নিয়োজিত রয়েছেন। ঝালকাঠি জেলায় দেওয়ানী ও ফৌজদারি কার্যবিধির ১ হাজার ৪ শ ৪৮টি মামলা জেলা লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম শুরুর পর আওতাভুক্ত হয়। এরমধ্যে ১৭০টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১ হাজার ২শ ৭৮টি চলমান রয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দেওয়ানী ৩শ ২টি এবং ফৌজদারী ৩শ ৩২টিসহ মোট ৬শ ৩৪টি। নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানী ২শ ৩টি এবং ফৌজদারী ১শ ৪৬টি মোট ৩ শ ৪৯টি। রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানী ১শ ৩৪টি এবং ফৌজদারী ১শ ২৫টি মোট ২শ ৫৯টি। কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানী ৯৮টি এবং ফৌজদারী ১শ ৮টি মোট ২শ ৬টি মামলা লিগ্যাল এইডে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় দেওয়ানী ৩শ ২টির ১৯টি এবং ফৌজদারী ৩শ ৩২টির ৩৯টি মোট ৫৮টি, নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানী ২শ ৩টির ২৫টি এবং ফৌজদারী ১শ ৪৬টির ৩৪টি মোট ৫৯টি, রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানী ১শ ৩৪টির ১২টি এবং ফৌজদারী ১শ ২৫টির মোট ২৭টি, কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানী ৯৮টির ১০টি এবং ফৌজদারী ১শ ৮টির ১৬টি মোট ২৬ মামলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।
বর্তমানে লিগ্যাল এইডে মামলা চলমান রয়েছে দেওয়ানী ৩শ ২টির ২৮৩টি এবং ফৌজদারী ৩শ ৩২টির ২শ ৯৩টি মোট ৫শ ৭৬টি, নলছিটি উপজেলায় দেওয়ানী ২শ ৩টির ১শ ৭৮টি এবং ফৌজদারী ১শ ৪৬টির ১শ ১২টি মোট ২শ ৯০টি, রাজাপুর উপজেলায় দেওয়ানী ১শ ৩৪টির ১শ ২২টি এবং ফৌজদারী ১শ ২৫টির ১শ ১০টি মোট ২শ ৩২টি, কাঠালিয়া উপজেলায় দেওয়ানী ৯৮টির ৮৮টি এবং ফৌজদারী ১শ ৮টির ৯২টি মোট ১শ ৮০টি।
২০০০ সালে আইন সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চালু হয় এবং ২০১১ সালে স্থায়ী লিগ্যাল এইড অফিস চালু করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪শ ৪৮ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে সদর উপজেলায় ৬ শ ৩৪ জনকে এবং সবচেয়ে কম সহায়তা প্রদান করা হয়েছে কাঠালিয়া উপজেলায় ২শ ৬ জনকে।
সরকারি আইনি সেবা এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আওতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নির্দেশক্রমে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল জেলা লিগ্যাল এইড অফিস এক সেমিনারে লিগ্যাল এইডের ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মাইনুল ইসলাম এ তথ্য প্রকাশ করেন।
শনিবার সকাল ১০টায় জেলা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় শহীদ সোহেল জগন্নাথ মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শফিকুল করীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু শামীম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ বজলুর রহমান, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ মোঃ সানাউল হক।
উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান রসুল, জিপি তপন কুমার রায় চৌধুরী, রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন, এপিপি আসম মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপ-পরিচালক নিজাম উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার, দৈনিক দূরযাত্রা সম্পাদক জিয়াউল হাসান পলাশ, প্যানেল আইনজীবী সাকিনা আলম লিজা, গোলাম কিবরিয়া ঝন্টু, সঞ্জয় মিত্র, নাগরিক উদ্যোগের প্যানেল লিগ্যাল এডভাইজার অ্যাডভোকেট শামীম হোসেন, রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াস, ইউপি সচিব আঃ লতিফ মোল্লা, মোঃ মনিরুজ্জামান, সুবিধা ভোগী তৈয়ব আলী ও ফেরদৌসী বেগম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।