কুড়িগ্রামে ইউপি নির্বাচনে জেলার রাজারহাট উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও প্রহসনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি নির্বাচনের ফলাফলেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন দলীয় একটি সূত্র।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুয়ায়ী আগামী ৭ মে রাজারহাট উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নির্বাচন। এ নির্বচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইউনিয়নের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটির ৬৫ জন ভোটের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই করার কথা। এ কারণে অর্থ বিত্তশালী ও অন্যদল থেকে আসা মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে নিজের পক্ষে নিয়ে এসে দলীয় মনোনয়ন নিচ্ছেন। এতে করে শুধু রাজারহাট উপজেলা নয় কুড়িগ্রাম জেলার ৭৩টি ইউনিয়নে নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক ওবাইদুর রহমান জানান, তৃণমূলে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হলেও একটি মহল বিভিন্নভাবে অর্থের বিনিময়ে বাছাই প্রক্রিয়ার পূর্বে তার পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। এতে অন্যান্য নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন। 

ছিনাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর জামান হক জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ছিনাই ইউনিয়নে নির্বাচন করে মাত্র ২৭৪ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হই। আমার প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৬৪৭৮টি। গত নির্বাচনের পর থেকে আমি ইউনিয়ন পর্যায়ে দল গোছানোর পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে জনসংযোগ অব্যাহত রাখি। আগামি নির্বাচনটি দলীয় প্রতীকে হওয়ায় আমি দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু তৃনমূলে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় একটি মহল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভোটারদের পক্ষে নেওয়ায় মাধ্যমে সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করায় প্রার্থী বাছাই ভোটে আমি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এ ঘটনা আমার ইউনিয়নসহ রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ঘটেছে। এ কারণে প্রতিটি ইউনিয়নের নেতারা বিক্ষুদ্ধ।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার সহ-সভাপতি ও চাকির পাশার ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী আজগার আলী রাজারহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।