কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টে বুধবার বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ও সিডিআর নিয়ে তদন্ত কমিটি ঢাকা ফিরেছেন। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন, সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপ্টেন আশরাফ, অতিরিক্ত পরিচালক আয়ুব খান ও সাইফুল ইসলাম।

কক্সবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যোগে তদন্ত কমিটির ৩ সদস্য কক্সবাজার ত্যাগ করেন।

ক্যাপ্টেন আশরাফ জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাস্থল তারা ঘুরে দেখেছেন। কি কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ও ফ্লাইট ডাটা রেকডিং (সিডিআর) তাদের হাতে পৌঁছেছে। এতে বিমানটির সকল প্রকার ডাটা রয়েছে। এটা পর্যালোচনা করে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যাবে এবং এই নিয়ে তারা ঢাকা ফিরছেন।

বেসরকারি বিমান সংস্থা ট্রু এভিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, তাদের ‘আন্তনভ-২৬’ বিমানটি কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে ৮১০ বক্স চিংড়ি পোনা নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় বুধবার সকাল ৯ টায়। বিমানটি আকাশে ওঠার পাঁচ মিনির পর পাইলট তাকে অবহিত করেন বিমানটির বাম পাশের ইঞ্জিল বিকল হয়ে গেছে।

তারা আরো জানায়, বিমানের দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। একটি বাম পাশে, অপরটি ডান পাশে। ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর পাইলট জরুরিভাবে অবতরণের অনুমতি চান। বিমান বন্দর কৃর্তপক্ষ অবতরণের অনুমতিও দেন। কিন্তু এর মধ্যে সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে বিমানটি নাজিরারটেক পয়েন্টে বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার তদন্তে একটি দল গঠন করা হয়েছে।

এদিকে নিহত ৩ জনের ময়না তদন্ত শেষ করে তা ফেরত পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়াধিন আছে বরে জানিয়েছে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, বিদেশী নাগরিকদের আইনগতভাবে হস্তাস্তর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিমান সংস্থা ট্রু এভিয়েশনের লোকজন তাদের সহযোগীতা করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এদের হস্তান্তরের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গ, বুধবার সকালে চিংড়ি পোনা বোঝাই করে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক সমুদ্র পয়েন্টে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলটসহ তিন বিদেশি নিহত হন। এঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও একজন। বেসরকারি বিমান সংস্থা ট্রু এভিয়েশনের কার্গো বিমানটি চিংড়ি পোনা পরিবহনে ব্যবহার হয়ে আসছে।