হাতিয়ায় আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থী সংঘর্ষ বাড়ছে
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন উপজেলা দ্বীপ হাতিয়ায় আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্য পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ফলে সাধারণ জনগণের আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে প্রতীক বরাদ্দের পর হাতিয়ার প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সব স্থানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগতবিবাদ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। যার বেশির ভাগ ঘটনায় আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষই জড়িত।
প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখা, নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা ও পোষ্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, প্রার্থীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গুলি ছোড়া ইত্যাদির নানা অভিযোগে হাতিয়ার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীদের সাথে তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে দেড়শতাধিক নারী পুরুষ আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো মুমূর্ষ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুধুমাত্র বুড়িরচর ইউনিয়নে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
একাধিক প্রার্থী বলছেন, প্রসাশনের চোখের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে নির্বাচন যতই নিকটে আসছে ততই সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিছুল হক প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যেখানেই সংঘর্ষের খবর পাই সেখানে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করি। প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সদা তৎপর।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।