- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- আপিল বিভাগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল
আপিল বিভাগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৮ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অপর চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এর আগে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরে ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওই আপিলের শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। রায় ঘোষণার জন্য ৮ মার্চ ধার্য করেন আদালত।
২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৩ সালের ১৬ মে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন আর আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন তিনজন।
পরে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যার দায়ে তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। বাকি আটটি ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে ১৭ জনকে নির্যাতনের দায়ে তাঁকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়টি অভিযোগে সাত বছর করে কারাদণ্ড, একটিতে ২০ বছর ও একটিতে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
ফাঁসির আদেশ পাওয়া ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে তাঁকে ডালিম হোটেলে বন্দী করে নির্যাতন ও ২৮ নভেম্বর হত্যা করে। পরে ওই হোটেলে নির্যাতনে নিহত আরও পাঁচজনের সঙ্গে জসিমের লাশ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
১২ নম্বর অভিযোগ অনুসারে, নভেম্বরে মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদররা চট্টগ্রামের হাজারী গলি থেকে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে তাঁদের হত্যা করে লাশ গুম করে।
মীর কাসেম একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের চট্টগ্রাম শহর শাখার সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৭ সালে দলটির নাম বদল করে ছাত্রশিবির নামে রাজনীতি শুরু করে। মীর কাসেম ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ওই সময় থেকে মীর কাসেম জামায়াতের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তিনি জামায়াতের অর্থের অন্যতম জোগানদাতায় পরিণত হন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।