তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি স্বল্পতায় নৌ-যোগাযোগ আশঙ্কায়
অব্যাহত পানি হ্রাসে গাইবান্ধায় তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ সবগুলো নদীর চ্যানেলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। যে কোন সময় এই যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত নভেম্বর থেকে ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা ও যমুনায় পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে নদীগুলো অসংখ্য শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে ছোট হয়ে যাচ্ছে। নদী বুকে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য চর। ফলে ওইসব চ্যানেলে শ্যালো চালিত নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল করতে পারছে না।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি, বালাসিঘাট, তিস্তামুখঘাট, সৈয়দপুর, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া, কামারজানি, গিদারি এবং সাঘাটা নৌ বন্দরে চলাচলকারি চ্যানেলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব নৌঘাট থেকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, কর্তীমারী, চিলমারি, রৌমারি, জামালপুরের ইসলামপুর, বাহাদুরাবাদ, দেওয়ানগঞ্জ, ঘুটাইল, ফুলছড়ির সানন্দবাড়ী, ফুটানী বাজার, জিগাবাড়ী, হরিচন্ডি, খোলাবাড়ী, খাটিয়ামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, বেলকাসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে এখন নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নৌঘাট এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে নদী বুকে বিশাল চর জেগে ওঠায় মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় চরবাসিকে।
অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে নদীগুলো নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এখন। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তাসহ তিনটি নদীর পানি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। এসব নদীর বুকে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে এখন।
নাব্যতা থাকায় স্বাভাবিক সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য ৩০টি রুটে নৌযান চলাচল করতো। এখন সেখানে মাত্র ১৭টি রুটে যান্ত্রিক নৌকা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে এ নদীগুলো আরও ভরাট হয়ে যাবে এবং নাব্যতা সংকটের মুখে পড়বে। সেজন্য অবিলম্বে নৌ চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
তিনি আরো বলেন, দেশের নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সরকারের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।