সুন্দর একটি পরিবার এবং তাদের স্বপ্নের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৬ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
রাজধানীর উত্তরায় স্বামী ও দুই সন্তানের মৃত্যুর পর তাদেরই পথ ধরলেন গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে দগ্ধ সুমাইয়া। দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে ১০ দিন লড়াই করে অবশেষে আজ রবিবার হার মানলেন তিনি। পরিবারটির এক ছেলে জারিফই (১০) একমাত্র বেঁচে থাকলো।
মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া শনিবার দুপুর ৩টায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে বেলা ১১টায় সুমাইয়াকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১ মার্চ সুমাইয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুর্ঘটনায় সুমাইয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়।
সুমাইয়ার দেবর মাহমুদ হাসান জানান, ভাবীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো মরদেহ আইসিইউ থেকে বের করা হয়নি। আমাদের পরিবারে একের পর এক মৃত্যু নিয়ে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
স্বজনেরা বলছেন, একই পরিবারের চার সদস্যের এই মৃত্যুতে একটি সুন্দর জীবন ও স্বপ্নের করুণ সমাপ্তি হয়েছে। সুমাইয়া-শাহনেওয়া দম্পত্তি তাদের বেঁচে থাকা একমাত্র সন্তান জারিফের জন্য রেখে গেলেন নিদারুণ শূন্যতা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলায় শাহনেওয়াজ-সুমাইয়ার ফ্ল্যাটে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শাহনেওয়াজ (৫০), তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া (৪০), তাঁদের তিন ছেলে শারলিন বিন নেওয়াজ (১৫), জারিফ নেওয়াজ (১১) ও জারান নেওয়াজ (১৪ মাস) দগ্ধ হয়। ঘটনার দিনই ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় শারলিন ও জারান। পরদিন মারা যান শাহনেওয়াজ। অন্য ছেলে জারিফের শরীর ৬ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সিটি হাসপাতালে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।