নওগাঁর আত্রাইয়ে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে বিশা ইউনিয়নে এক প্রার্থীর শো-ডাউনে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নে শনিবার দলীয় একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেই মোতাবেক শুক্রবার রাতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লার পক্ষে একটি শো-ডাউন করে। শো-ডাউন শেষে উপজেলার বৈঠাখালি এলাকায় রাত আনুমানিক পৌনে ১০টায় বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ চলছিল। এ সময় একজন প্রার্থীর পক্ষে আত্রাই থেকে কিছু লোকজন মোটরসাইকেলযোগে এসে তাদের সাথে যোগ দেয়।

এদের মধ্যে একজন এসে বিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সোহেল রানাকে পাশে ডেকে নিয়ে রিভলভার বের করে গুলি করে। 

এ সময় সোহেল রানা হাত দিয়ে অস্ত্রধারীর হাতে আঘাত করলে গুলি তার দেহে না লেগে বাহিরে চলে যায়। গুলির শব্দে লোকজন ছুটে আসলে অস্ত্রধারীসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা কয়েকজনকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়।  

এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আত্রাই উপজেলার হাটকালু পাড়া ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় ভাঙচুর হলে বর্ধিত সভা স্থগিত হয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান, আমরা শো-ডাউন শেষে বৈঠাখালিতে এসে বিভিন্ন আলাপ  করছিলাম। এসময় সোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন এসে আমাদের সাথে মিলিত হয়ে প্রচার সম্পাদক সোহেলকে ডেকে নিয়ে গুলি  করে।

সোহেল রানা জানান, আমরা বৈঠাখালী বাজারে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম। এ সময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে রাব্বী এসে আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে গুলি করে।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, গুলির কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তারা নেশা করে  মাতলামি করছিল। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন  প্রত্যাশী আজিজুর রহমানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।