ভালবেসে শিকলবন্দি পরাণ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ শিকলে বন্দি পরাণ আক্তার নামের (২৬) এক তরুণী। এখন নিজের অব্যক্ত ভালবাসার আগুনে পুড়ে শিকলে বন্দি হয়ে ভালবাসার মাশুল দিতে হচ্ছে তাকে।
দীর্ঘ ৮ বছর কখনও শিকলে কখনও বা ঘরে তালা মেরে বন্দি করে রাখা হচ্ছে তাকে। যে বয়সে তার স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসার করার কথা সে বয়সে অন্ধকার ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে মাথা ঠুকরে জীবন নিঃশেষ করে চলছে।
এ নির্দয়, নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামের বিশিষ্ট চলচিত্র অভিনেতা এ.টি.এম শামছুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি বড়বাড়িতে। এখন অবশ্য তারা ঐ বাড়ি থেকে উঠে গিয়ে ভোলাকোট বাজার (টিওরীর) দক্ষিণে নতুন একটি বাড়িতে বসবাস করছেন। ওই বাড়ির মৃত হারেছ মিয়ার মেয়ে পরান আক্তার স্থানীয় টিওরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় জনৈক নাজিম উদ্দিন নামের এক ছেলেকে ভালবাসেন। কিন্তু সে ভয়ে এ কথাগুলো নাজিমকে জানাতে পারে নি এবং অন্য কারোও কাছেও প্রকাশ করে নি। ফলে পরান আক্তার তার অব্যক্ত ভালবাসার আগুনে পুড়ে এক পর্যায়ে পাগল হয়ে নাজিমের নাম ধরে বিভিন্ন প্রলাপ বকতে থাকে আর তখনই পরান আক্তারের প্রেমের কাহিনী ফাঁস হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার এ তথ্যগুলো জানান পরান আক্তারের ভাবী নাছিমা আক্তার ও মা সহিদা বেগম। তারা আরো জানান, ৬ ভাই বোনের মধ্যে পরান আক্তার পঞ্চম। তার ছোট বোনটিরও বিয়ে হয়ে গেছে। আমরা তার কবিরাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিকিৎসা করিয়েছি কিন্তু ভাল হয় নি। আর তাছাড়া পরান আক্তারদের উপার্যনক্ষম একমাত্র ভাই ইউছুপ বাড়িতে না থাকার কারণে ও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পরানকে আমরা ভালভাবে চিকিৎসা করাতে পারি নি। সে বিভিন্ন বকাবকি করে এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় তাই নিরূপায় হয়ে আমরা তাকে শিকলে বেঁধে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রেখেছি।
পরান আক্তারের মা সহিদা বেগম ও ভাবী নাছিমা আক্তার জানান, ডাক্তার বলেছে উন্নত চিকিৎসার পেলে পরান সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু পরিবারের অস্বচ্চলতার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।