পাওনা টাকার জের ধরে সহকর্মীর ছেলেকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৩ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেতজুরি খাল থেকে শাহীন (৮) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক পাপ্পুকে (১৯) আটক করে। শাহীনের বাবা পাপ্পুর সহকর্মী এমদাদ পাওনা টাকা না দেওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে পাপ্পু।
নিহত শহীন বেতজুরি এলাকার সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার দক্ষিণ জয়দেবপুর এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে। তার বাবা শ্রীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকার আলিফ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে ও মা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তারা স্থানীয় আক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ঘাতক পাপ্পু দিনপাজপুরের হাকিমপুর থানার চাঙ্গিরামপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ মার্চ) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শাহীন। পরে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন যে, এলাকাবাসী বিকেলে পাপ্পুর সঙ্গে শাহীনকে দেখেছে। পরে বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
শ্রীপুর থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, পাপ্পুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় শাহীনকে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেতজুরি খালের পাড়ে নিয়ে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পানিতে ফেলে দেয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি বৃহস্পতিবার সকালে খাল থেকে শাহীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, স্বীকারোক্তিতে পাপ্পু জানিয়েছে, শাহীনের বাবা এমদাদের সঙ্গে একই ওয়ার্কশপে কাজ করতো সে। পরে সেখান থেকে অন্য কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে যায় পাপ্পু। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় ওয়ার্কশপের মালিকের দেওয়া দুই মাসের বেতনের টাকা এমদাদ পাপ্পুকে না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরেই শাহীনকে হত্যা করেছে পাপ্পু।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।