- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- আজ জাতীয় পতাকা উৎসব
প্রতিরোধের মার্চ
আজ জাতীয় পতাকা উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০২ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
১৯৭১ সালের ০২ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজ ও আ.স.ম. আব্দুর রবের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সমাবেশে কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়। আ.স.ম. আব্দুর রব বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত ঐ পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করেন।
ঐ জাতীয় পতাকার নকশাকার ছিলেন শিবনারায়ণ দাশ। ১৯৭০ সালের ৬ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০১ নাম্বার (উত্তর) কক্ষে রাত প্রায় ১১টার পর সম্পূর্ণ পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন তিনি। ঐ পতাকা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।
১৯৭০ সালের ৬ই জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৬ নাম্বার কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ.স.ম. আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ এবং মার্শাল মনিরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে ও সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রংয়ের বাংলার মানচিত্রখচিত পতাকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৯৭০ সালের ৭ জুন অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন আ.স.ম. আবদুর রব। পতাকা হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন হাসানুল হক ইনু। রব সেই পতাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন এবং বঙ্গবন্ধু ছাত্র-জনতার সামনে তুলে ধরেন জাতীয় পতাকা।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে আ.স.ম. আবদুর রব যখন বক্তৃতা করছিলেন, তখন নগর ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাহিদ হোসেন একটি বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রোকেয়া হলের দিক থেকে মঞ্চস্থলে মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন। রব তখন সেই পতাকা উত্তোলন করেন।
২৩ মার্চ ১৯৭১, ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিবনারায়ণ দাশের ডিজাইন করা পতাকা উত্তোলন করেন। দেশের বাইরে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল, কলকাতার পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনে।
১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ণ দাশের ডিজাইন করা পতাকার মাঝে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে মূল পতাকার মাপ, রং এবং এর ব্যাখ্যাসংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক এবং বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এ রূপ ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আয়তাকারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬ এবং মাঝের লাল বর্ণের বৃত্তটির ব্যাসার্ধ দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ, পতাকার দৈর্ঘ্যের ২০ ভাগের বাম দিকের ৯ ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরলরেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।