নীলফামারীতে শালিসী জরিমানা করায় অটোচালকের আত্মহত্যা
অটোরিক্সা হারানোর দায়ে চালক মঞ্জুরুল আলমকে (৩০) শালিস বেঠকে জরিমানা করায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারীর সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী দোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
অটোচালক মঞ্জুরুল আলম ওই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, একই ইউনিয়নের দুহুলী বাজারপাড়ার রশিদুল ইসলামের একটি অটোরিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতো মঞ্জুরুল আলম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রী নিয়ে মঞ্জুরুল রংপুর শহরে গিয়ে তার অটোরিক্সাটি হারিয়ে ফেলে।
এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মালিক রশিদুল ইসলাম তার অটোরিক্সা দাবি করে। পরে এ নিয়ে দুহুলী বাজার এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। এবং বৈঠকে চালক মঞ্জুরুলকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গরীব হওয়ায় ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মঞ্জুরুল তার সাধ্যমত ৩০ হাজার টাকা জরিমানার টাকা দিতে চায়। কিন্তু এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়ায় ১ মার্চ পুনরায় একই স্থানে বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হয়।
সন্ধ্যার ওই সালিশ বৈঠক শেষে রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মঞ্জুরুল আলম।
মঞ্জুরুল আলমের বাবা লিয়াকত আলী অটোরিক্সা হারানোর এবং সালিশ বৈঠকের কথা স্বীকার করে জানান, ওই বৈঠকের পর রাতে বাড়িতে এসে ভাত খায় নি মঞ্জুরুল। বাড়িতে আত্মীয় থাকায় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমানোর কথা বলে চলে যায় সে।
সোমবার সকালে বাড়ির অদুরে একটি জাম গাছের ডালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান পাশা জানান, মঞ্জুরুল আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তার বাবা লিয়াকত আলী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।