নারী সম্পাদক পদে পুরুষ কেন নয়: স্পিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০১ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো কমিটিতে নারী সম্পাদক একটা পদ। এর একজন মুখপাত্র থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে এই পদে সব সময় একজন নারীকেই মুখপাত্র করা হয়। সব সময় একজন নারীকে কেন মুখপাত্র থাকতে হবে। একজন পুরুষকে কেন এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় না। নারী সম্পাদক পদে পুরুষ থাকলে সমস্যা কি?
মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘গণমাধ্যম ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ক্ষেত্র। জনগণের মতামত তৈরি ও সেই মতামতের পরিবর্তনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক যেখানে নারী, সেই নারীদের অধিকার, নারীর জন্য সুযোগ তৈরি, তাদের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই নয়, সারা বছরই যেন আলোচনা হয়। আমরা সকলেই জানি যে, আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে নারী ক্ষমতায়নে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে প্রতিবারই আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সভায় আমরা একই কথা বারবার বলতে থাকি। সেটার অবশ্য সুবিধাজনক দিকও আছে। এর মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়ে থাকে।
স্পিকার বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা নারীর ক্ষমতায়নকে যদি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে চাই এবং সেখানে নিতে হলে এ পর্যন্ত যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, সেই সোপানের ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনগুলোতে আমাদের করণীয় কী, নারী দিবসের সকল আলোচনায় সেই বিষয়টিও আমাদের প্রতিপাদ্যে থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সমস্যা আছে সমস্যা থাকবে, সমস্যা প্রতিটি ক্ষেত্রে থাকবে। বিষয় হচ্ছে আমরা কতটা নিপুণভাবে সেই সমস্যার উত্তরণ ঘটাতে পারছি। আজকে গণমাধ্যমে নারীদের যে উপস্থিতি সেটা কিন্তু ঈর্ষণীয়। এটি একটি কঠিন পেশা। যারা এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তারা পরিচয় দিয়েছেন অনেক বড় সাহসিকতার। দৃঢ়তা এবং কঠিন মনোবলের পরিচয় দিয়ে তারা এই পেশায় কাজ করে যাচ্ছেন। সেই জন্য আমি অভিনন্দন জানাই তাদের।
মাতৃত্বকালীন ছুটির সঠিক বাস্তবায়ন, দিবাযত্ন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, কর্মঘণ্টার সঠিক মূল্যায়ন করে নারীর কর্মক্ষেত্র সহজতর করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য ওয়াসফিয়া আয়েশা খান। বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আজমল হক হেলাল, সহসভাপতি কদরত-ই-খুদা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, সাংবাদিক মানসুরা হোসাইন, নাদিরা কিরন, ক্রাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন ঝরণা মনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।