- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- এসআই জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছাল
এসআই জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পেছাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০১ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে জনি হত্যা মামলায় রামপুরা থানার বরখাস্তকৃত এসআই জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ১৫ মার্চ র্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা উপস্থিত না থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকিয়া পারভীন নতুন করে আবারো অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারণ করেন।
জনি ও সুজন হত্যার অভিযোগে দু’জনের স্বজন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে মোট চারটি মামলা করা হয় এসআই জাহিদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। সেগুলোর মধ্যে স্বজনদের করা দুই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে এবং পুলিশের করা দুই মামলা তদন্তাধীন।
২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহতের ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষ করেন। পরবর্তী সময়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পল্লবী থানার ইরানি ক্যাম্পে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আনুমানিক রাত দুইটার দিকে পুলিশের সোর্স আসামি সুমন মদ খেয়ে স্টেজে উঠে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। জনি তাকে প্রথমে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার সুমন একই কাজ করলে সুমনের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জনি সুমনকে থাপ্পড় দিলে তিনি আধাঘণ্টা পর এসআই জাহিদসহ ২৫-২৬ জন পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর করে জনি। এরপর রকিসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
এসআই জাহিদসহ অপর আসামিরা তাদের পল্লবী থানাহাজতে হকিস্টিক ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করেন। জাহিদ জনির বুকের ওপর চড়ে লাফালাফি করেন। জনি এ সময় পানি খেতে চাইলে জাহিদ তার মুখে থুথু ছোড়েন। নির্যাতনে মামলার বাদী রকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার বড় ভাই জনিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরহ চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইরানি ক্যাম্প ও রহমত ক্যাম্পের মধ্যে মারামারির মিথ্যা কাহিনী দেখিয়ে জনি নিহত হন বলে দেখানো হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।