সাবরাং ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সাবরাংসহ ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এসময় উখিয়া টেকনাফের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নেতৃত্বে সাবরাং থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি এখানকার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকার কাজ করতে বদ্ধ পরিকর বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।
এটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাবরাং এলাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজার জেলা আ. লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সদর আসনের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা আ. লীগ নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে ১ হাজার ১৬৫ একর জমির উপর তৈরী হচ্ছে একটি পর্যটন অঞ্চল। এতে চাষযোগ্য ৯১ দশমিক ৬৮ একর, খাস ৯৩৭ দশমিক ৪৬ একর ও বালিয়াড়ি ১৩৫ দশমিক ৭১ একর জমি এ পর্যটন অঞ্চলের আওতায় নেওয় হচ্ছে।
এছাড়া অপর অর্থনৈতিক অঞ্চল নাফ নদীর বুকে জেগে ওঠা জালিয়ার দ্বীপে রয়েছে ২৭১ দশমিক ৯৩ একর জমি। এতে অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে তা বাস্তবায়ন করা হচেছ। এ সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে একাধিক আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা, নাইট ক্লাব, কার পার্কিং, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, বার, অডিটোরিয়াম, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ক্রাফট মার্কেট, ল্যান্ডস্কেপিংসহ বিভিন্ন পর্যটন সুবিধা থাকবে বলে জানান আয়োজকরা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এসব অঞ্চল বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় সুশীল সমাজের মতে, একদিকে নাফ নদী অপর দিকে বঙ্গোপসাগর। প্রকৃতির সব সৌন্দর্য্য যেন এখানে আপন ঠিকানা গড়েছে। প্রমোদতরী ভাসিয়ে একটু পূর্বে গেলেই মিলবে অন্য একটি রাষ্ট্র মিয়ানমার। দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের পর্যটনের আদান প্রদানের পাশাপাশি এখানে উঁকি দেয় ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা।
শুধু তাই নয় চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার হয়ে সোজা সাবরাং। আর এই বিশাল বানিজ্যিক দুয়ার মেলে আছে বহুদিন থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন ঘোষণা করায় এখন পুরো দমে শুরু হবে এই জোনের কাজ। এতে করে সবচেয়ে বেশি লাভবানের আশা করছেন স্থানীরা।
এখানকার লোকজন জানান, এই প্রকল্পের শুরু থেকে স্থানীয়দের মুল্যায়ন করা হলে বেকারত্ব দুর হবে। একইভাবে মানবপাচার নেমে যাবে শূণ্যের কোটায়। টেকনাফ স্থলবন্দরের সাথে সমন্বয় করে এখানে তৈরী হবে বিশাল অর্থনৈতিক ভুরিগার।
টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোছাইন বলেন, টেকনাফের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।