কাঁচি দিয়ে টনসিন অপারেশন করা চিকিৎসকের আত্মগোপন
কাঁচি দিয়ে টনসিন অপারেশনকারী গাইবান্ধার সেই পল্লী চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম আত্মগোপন করেছেন। স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তার চিকিৎসার জেরে গৃহবধূ নুরজাহান বেগম (২৫) মৃত্যুশয্যায় জেলা সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু চৌধুরী বাদি হয়ে ওই পল্লী চিকিৎসককে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নুরজাহানের বাবা আব্দুল খালেক বলেন, তার মেয়ে কিছুদিন ধরে গলায় টনসিলে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবরুল গ্রামে যান।
সেখানে সদরের সিংড়া মধ্যপাড়া গ্রামের ওই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সিরাজুল ইসলাম সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নুরজাহানদের বাড়িতে যান। বাড়ির আঙিনায় নুরজাহানকে দুই পাশ থেকে দুজন ধরে থাকেন। পল্লী চিকিৎসক নুরজাহানের জিহ্বা টেনে ধরে মুখের ভেতর চুলকাটা কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়ে টনসিলের জায়গার কিছুটা মাংস কেটে নেন। নুরজাহানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন।
পরে নুরজাহানের শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে বুধবার বিকেলে নুরজাহানকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নুরজাহানের মা বেলী বেগম বললেন, নুরজাহানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক সিরাজুল নিয়ে যেতে দেন নি। বলছেন বাড়িতেই ভালো হয়ে যাবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়মিত মামলা হিসাবে আমলে নেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।