- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- নূর হোসেনের ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
নূর হোসেনের ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের নামে প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এসব সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তার স্ত্রী রুমা হোসেনকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।
নূর হোসেনের দাখিল করা সম্পদের হিসাবের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবের এ নোটিস রুমার ঠিকানায় পাঠানো হয়। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী স্বাক্ষরিত নোটিসে আজ সকাল ১০টায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রুমাকে হাজির থাকার জন্য বলা হয়।
দুদকের প্রাথমিক হিসাবে নূর হোসেনের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর কারারুদ্ধ নূর হোসেন দুদকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কর্মকর্তা নারায়গঞ্জে যান। সেখানে তিনি নূর হোসেনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের খোঁজ পান। দুদক কর্মকর্তা নূর হোসেনের এ বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়ে বিস্মিত হন।
দুদকের এ অনুসন্ধান কর্মকর্তা জানান, ১৯৮৫ সালে নূর হোসেন একজন ট্রাক হেলপার ছিলেন। এখন তার নামে রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল মৌজায় ৩৭৩ নম্বর দাগে প্রায় ১১ শতাংশ জমির ওপর ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাঁচ তলা বাড়ি। এবিএস পরিবহনের লাক্সারি ৩২টি বাস, শিমরাইল মৌজায় ৭২ ও ৭৩ নম্বর দাগে ১০ শতাংশ জমির ওপর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয় তলা বাড়ি। একই মৌজায় ৩১২ নম্বর দাগে ১০ তলা ফাউন্ডেশনে নির্মিত ছয় তলা ভবন। রসুলবাগে সাড়ে ৮ কাঠা জমির ওপর সাত তলা ভবন ও সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজায় ১০ শতাংশ জমির ওপর সাত তলা ভবন।
দুদক সূত্র জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অর্জিত অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, পলাতক ও বিদেশে আটক থাকার কারণে নূর হোসেনকে আমরা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। এখন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সম্পদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চালানো হবে যাচাই করার প্রক্রিয়া।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর ধীরে ধীরে বের হতে থাকে নূর হোসেনের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সম্পদভাণ্ডারের তথ্য। প্রভাব খাটিয়ে, প্রতারণা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ওই সম্পদ। ২৭ মে নূর হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অনুসন্ধানে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। ১৫ জুন এক আদেশে নিযুক্ত করা হয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।