- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- তিস্তা সেচ ক্যানেলে পানির জন্য হাহাকার
তিস্তা সেচ ক্যানেলে পানির জন্য হাহাকার
ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশের তিস্তা সেচ প্রকল্পে পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। যেটুকু পানি পাওয়া যাচ্ছে তা গড়ে ৫শ কিউসেক। সেটুকু পানি ব্যারাজের ৪৪টি গেট বন্ধ রেখে প্রধান খালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং তা দিয়ে কিছু জমিতে অনিয়মিত ভাবে সেচ দেওয়া হচ্ছে।
তবে তা বোরো আবাদের জন্য অপ্রতুল। কৃষকরা বাধ্য হয়ে তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশে সেচপাম্প বসিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন। অবিলম্বে ভারতের সাথে তিস্তা সমস্যা সমাধান (পানিচুক্তি) বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেচ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উত্তরের জেলা নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার ৩৫টি উপজেলার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন ঝটিলতার কারণে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ১৯৯৮ সালে শেষ করা হয়। এবং প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে পরবর্তিতে তা ৬০ হাজার হেক্টওে কমিয়ে আনা হয়। তবে কয়েক বছর ধওে সেই লক্ষমাত্রাও পূরণ হচ্ছে না। চলতি মৌসুমে তা আরো কমিয়ে ১০ হাজার হেক্টরে আনা হয়েছে। এরপরেও পানি না পেয়ে কৃষকরা সেচ ক্যানেলের পাশে ফসল রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে সেচ পাম্প বসিয়েছেন।
জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী এলাকার কৃষক জাহেদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, অন্য বাবু, মধাব চন্দ্র রায় জানান, তারা ক্যানেলের পাশের জমিতে বোরো আবাদ করছেন। প্রথম দিকে সামান্য পানি পেলেও এখন একেবারেই পানি নেই। তারা অবিলম্বে ভারতের সাথে পানি সমস্যার দাবি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী ডিভিউশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে চুয়ানো পানি দিয়ে ১০ হাজার হেক্টও জমিতে পানি দেওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সেই পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিস্তা পানিচুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে সেচ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।