ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধুকে এসিড নিক্ষেপ, স্বামী আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গৃহবধুর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকায় শেখ নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী তানিয়া আক্তারের ওপর এসিড হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া সৈয়দবাড়ির মৃত সালাউদ্দিনের মেয়ে। তাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নীলা বেগম ও তুষার রহমান নামের আরো দুজন আহত হয়েছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানিয়ার স্বামী নজরুলকে আটক করেছে।
আহত তানিয়া আক্তার হাসপাতালে জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ দিন আগে পারিবারিকভাবে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সমঝোতা হয়। তবে কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, বুঝতে পারছেন না তিনি।
তিনি আরো জানান, রাতে নামাজ পড়ার জন্য অজু করতে যাওয়ার পথে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গৃহবধুর আত্মীয় এলিনা রহমান জানান, তানিয়াকে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে কেউ এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে তিনিসহ অন্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এরপর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান জানান, কেমিক্যাল বার্নের কারণে তানিয়ার গলা, বাঁ হাতসহ মুখমণ্ডলের ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশ (এক-তৃতীয়াংশ) ঝলসে গেছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে তানিয়ার স্বামী নজরুলকে আটক করে।
শুনানিতে প্রথমে রাষ্টপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ১৫২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তুর ওপর যুক্তি উপস্থাপন করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, শামীম সরদারসহ অন্য আইনজীবীরা বিষয়বস্তুর ওপর যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত ট্রাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হয়। বিচার শেষে গত বছরের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান।
মামলার আসামি ছিল ৮৪৬ জন। এ মামলায় তৎকালীন বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরো ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।
নিম্ন আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি ১৩৮ জন ফাঁসির আসামিসহ অন্য আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।