চার শিশু হত্যার অন্যতম আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
হবিগঞ্জের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাচ্চু মিয়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে র্যাব জানতে পারে, বাচ্চু মিয়া সংঘবদ্ধ দল নিয়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হয়।
পরে হবিগঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ এলাকায় বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় র্যাব। ওই সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি করেন বাচ্চু। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু মিয়া নিহত হন।
এদিকে সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকা থেকে চার শিশু হত্যা মামলায় শাহেদ নামের আরেক গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাব আরো জানায়, চার শিশু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজন আটক হলো। এর মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ছয়জন। আর র্যাবের হাতে আটক হয়েছে একজন।
নিহত শিশুরা হলেন- বাহুবলের ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাড়ির পাশের মাঠে খেলা করতে যায় জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তাজেল মিয়া (১০), মনির মিয়া (৭) ও ইসমাইল হোসেন (১০)। এরপর থেকে তাদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই চার শিশুর সন্ধান না পেয়ে জাকারিয়া আহমেদ শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজের পাঁচদিন পর বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাহুবল উপজেলা সুন্দ্রাটিকি গ্রামে থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।